ঢাকা থেকেঃ ঢাকায় নাজিমুদ্দিন সামাদ নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রকে বুধবার রাতে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
এই হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ এবং ক্লাস বর্জন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
নিহত নাজিমুদ্দিন অনলাইনে ধর্মীয় বিষয় এবং উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লিখতেন বলে জানা গেছে।
নিহত নাজিমউদ্দিন সামাদ ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং সিলেটের গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা এলাকা প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। তারা দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালযের ক্লাস বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা।
সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন চন্দ্র সাহা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, রাত নয়টার দিকে ঢাকার পুরনো অংশ সূত্রাপুরের একরামপুর ট্রাফিক মোড়ে কয়েকজন অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত মি. সামাদের ওপর প্রথমে চাপাতি দিয়ে হামলা চালায়।
পরে তাকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

বাংলাদেশে ২০১৩ সাল থেকে মোট ৫ জন ব্লগারকে তাদের লেখালেখির কারণে হত্যা করা হয়েছে
পুলিশ জানিয়েছে, আহত অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকার পর পথচারীরা মি. সামাদকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশে ২০১৩ সাল থেকে মোট ৫ জন ব্লগারকে তাদের লেখালেখির কারণে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত নাজিমউদ্দিন সামাদ ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির সান্ধ্য-কালীন বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
তার বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারে।
ফেসবুক পাতায় তিনি নিজেকে সিলেট জেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মি. সামাদ ধর্মীয় উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে অনলাইনে লেখালেখি করতেন বলে তার ফেসবুক পাতা থেকে জানা যাচ্ছে।
এছাড়া গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার জানিয়েছেন, মি. সামাদ সিলেটে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মকাণ্ডেও যুক্ত ছিলেন।